Tasawwuf
Tuesday, December 24, 2013
সুফিবাদ প্রসঙ্গে ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
ইমাম গাজ্জালী রঃ যখন এ মন্তব্য করেন তখন ছিল মোসলমানদের চরটি প্রধান দল। কালামপন্থী,তালেমী শিয়া,দার্শনিক ও সূফিদের দল।তিনি বলেম, ”আমি এক একটি দলের মতামত এর যাচাই ও অনুসন্ধান করতে লাগলাম
।ইলমে কালামের যত কিতাব ছিল তা পড়লাম,কিন্তু তবুও মনে স্বস্হি পেলাম না।দর্শন শাস্ত্রের ভিতর যা বিশ্বাস করার বিষয় ছিল,তার সাথে মাযহাবের কোন সম্পর্ক নেই। যে অংশ মাযহাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অর্থাৎ আল্লাহর গুনাবলী,তাও বিশ্বাসের ভিত্তির উপর নয়।অতপর যখন সুফিসাধনায় মনোনিবেশ করলাম তখন দেখতে পেলাম যে একমাত্র সুফিগনই হক পথে প্রতিষ্ঠিত আছে ।দীর্ঘদশ বছর কৃছ্র সাধনার মাধ্যনে আমি সন্দেহাতীতভাবে এ সত্যটি উপলব্ধি করেছি যে , সুফি মন্ডলীই আল্লাহর একনিষ্ট সাধক,আল্লাহর পথের যথার্থ পথিক,তাদের তরিকাই হলো সবচেয়ে নিখুত তরিকা।তাদের নৈতিক চরিত্র মানবকুল শ্রেষ্ঠ জীবনধারা,অতি সচ্ছ এবং তারা নিখুত ও উন্নত নৈতিকতার অধিকারী ,তাদের নৈতিকতা ও চরিত্র এতই বলিষ্ঠ ও উচ্চমানের যে,সমস্ত দর্শন বিজ্ঞান ও শরীয়তবেত্তাদের যাবতীয় জ্ঞান গরিমার সমন্বয় করেও এর মোকাবেলা করা যাবে না।অনুরূপ বলিষ্ঠ চরিত্র কাঠামো রচনা করা সম্ভবপর হবে না।কারন আধ্যাত্নিক এবং জাগতিক নর্বিশেষে তাদের প্রত্যেকটি কাজ নুরে নবুয়তের দ্বারা স্নাত।এ নুরে নবুয়তকে বাদ দিলে আর কি আছে যদ্বারা প্রকৃত সত্যের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
ফানাফিল্লাহ আধ্যাত্নিক উৎকর্ষতার সর্ব্বোচ্চ স্তর এতে সন্দেহ নেই।তবে তা কৃচ্ছ্রতা সাধনার পরিনতির দিক থেকে ,অন্যথায় এটাই আধ্যাত্নিকতার প্রথম সোপান,এর পুর্বে যা কিছু করা হয়,সবই এর প্রস্তুতি পর্বে গন্য। ফানাফিল্লাহ থেকে দিব্যজ্ঞান ও দিব্য দৃষ্টির উন্মেষ ঘটে।
সুফিগন এ সোপানে অনুপ্রবেশ করেই ধ্যানের(মোরাকাবা) মাধ্যমে ফেরেশতা ও নবীদের আত্নার সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন,তাদের কথা শোনেন এবং তাদের সাহায্যে প্রকৃত জ্ঞান আধ্যাত্নিকতার সন্ধান পান।শুধু তাই নয়, তাদের নৈতিক উন্নতি সাধিত হয় এবং সৃষ্টি ও বস্তুজগতের উর্ধ্বে তারা এমন একটি জগতের সন্ধান পান ,যার অবস্হা ও প্রভাব ভাষায় বর্ননা করা যায় না।তা বর্ননার চেষ্টা করলে ত্রুটি বিচ্যুতি না হয়ে গত্যন্তর নেই।তাছাড়া সান্নিধ্য ও মিলনের বর্ননা ভঙ্গি বিশেষজ্ঞগনের একান্ত নিজস্ব।
মোদ্দাকথা , যে ব্যক্তি তাসাউফের আলো পায়নি, সে নবুয়তের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে সম্পুর্ন অক্ষম।মুর্খরাই সুফিবাদের বিবৃত তত্ত্ব ও তথ্যকে অস্বীকার করে এবং তা নিয়ে বিদ্রুপের হাসি হাসে।
(গ্রন্হ সুত্র- আল-মুনকিজু মিনাদ্দালাল/ ইমাম গাজ্জালী রঃ)
বইটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন
Saturday, February 23, 2013
What is Tasawwuf?
Tasawwuf is a branch of Islamic knowledge which focuses on the spiritual development of the Muslim.
Allah sent His final messenger, Prophet Muhammad (sm) as a source of knowledge for the entire ummah. He(sm) was
the fountain of Quran, Hadith, tafsir, rhetoric, fiqh, and so on. After
the Prophet, the scholars of this ummah carried and propagated each of
these branches of knowledge. Because no one person can attain the
perfection of the Prophet(sm) ,
who single handedly assumed all of these roles, various branches of the
Islamic sciences developed. For example, Imam Abu Hanifah preserved the
science of fiqh and after him thousands of scholars continued in his
footsteps. Hence these scholars preserved the fiqh of the Prophet (sm).
Similarly Imam Bukhari and the other famous scholars of Hadith,
preserved the words of the Prophet. The scholars of tajweed preserved
the recitation of the Prophet (sm). And, the scholars of Arabic grammar preserved the language of the Prophet (sm).
Along these lines, the Prophet (sm) was the model of spirituality for the world. His God-consciousness, deep spirituality, acts of worship, and love for Allah (sm)
were preserved and propagated by an Islamic science called Tasawwuf.
The aim of the scholars of this science was purification of the heart,
and development of consciousness of Allah (sm)through submission to the shariah and sunnah.
Subscribe to:
Posts (Atom)